মার্কেট তৈরিতে গৃহীত পদক্ষেপ

এইচএসসি (বিএমটি) ভোকেশনাল - ই-মার্কেটিং - ই-মার্কেটিং কৌশল | | NCTB BOOK
2

মার্কেট বলতে কোনো পণ্য বা সেবার বর্তমান ও সম্ভাব্য ক্রেতা সমষ্টিকে বোঝায়। মার্কেট মানেই হলো ক্রেতাদের সমষ্টি। কীভাবে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা যায়, তাদেরকে কীভাবে ধরে রাখা যায়, সে বিষয়ে চলছে বিশ্বব্যাপী গবেষণা। মার্কেট তৈরি বলতে ক্রেতাসাধারণ তৈরি বা সৃষ্টিকে বোঝায় । ক্রেতাদেরকে আকৃষ্ট করা পৃথিবীর চ্যালেঞ্জিং কয়েকটি কাজের মধ্যে একটি। মার্কেট বা ক্রেতা তৈরিতে যেসব পদক্ষেপ রয়েছে, সে সম্পর্কে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

১. সুষ্ঠু পরিকল্পনা (Proper Planning): মার্কেট তৈরিতে প্রথমেই শুধু পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। কারা বর্তমান ক্রেতা, কারা সম্ভাব্য ক্রেতা ইত্যাদি বিষয়ে পরিকল্পনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

২. মার্কেট রিসার্চ বা গবেষণা (Market research) : বাজার পরিস্থিতি বা ট্রেন্ড নিয়ে গবেষণা কার্য পরিচালনা করতে হবে। বাজার গবেষণা করেই ক্রেতাদের সার্বিক পরিস্থিত সম্পর্কে জানা সম্ভব। এর মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতাদেরকে প্রকৃত ক্রেতায় রূপান্তরের পদক্ষেপ চিহ্নিত করা সম্ভব।

৩. শক্তিশালী বাজেট প্রণয়ন (Building a strong budget): ক্রেতা বা মার্কেট তৈরিতে শক্তিশালী বাজেটের প্রয়োজন। কেননা ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে ও তাদের প্রকৃত ক্রেতায় পরিণত করতে প্রচুর বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন।

৪. বিশ্বব্যাপী প্রচার (Worldwide Publicity): মার্কেট তৈরিতে বিশ্বব্যাপী প্রচারকার্য পরিচালনা করতে হবে। প্রচার যত বেশি হবে ক্রেতাদের ততই মনোযোগ আকর্ষণ করা সম্ভব হবে। ট্রেডিশনাল ও ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

৫. বাজার বিভক্তিকরণ (Market Segmentation): একটি মার্কেটকে যখন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করা হয় তখন তাকে বাজার বিভক্তিকরণ বলে। একটি ক্ষুদ্র মার্কেটকে টার্গেট করে এগুনোর চেষ্টা করলে খুব দ্রুত মার্কেটে প্রবেশ করা যায় ও তাদেরকে ধরে রাখা যায়।

চিত্র : বাজার বিভক্তিকরণ

৬. কৌশল গ্রহণ (Taking proper strategy): ক্রেতা বা মার্কেট সৃষ্টিতে কৌশল গ্রহণ একটি বিশেষ পন্থা হিসেবে বিবেচিত। গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী ক্রেতা সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় কৌশল গ্রহণ করা যেতে পারে। ক্রেতাদের প্রয়োজন, অভাব, চাহিদা, আর্থিক সামর্থ্য ইত্যাদি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় কৌশল গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন- ক্রেতাদের আর্থিক দিক বিশ্লেষণ করে মিনি প্যাক শ্যাম্পু তৈরি করা হয়েছে।

৭. নতুন ক্রেতা সৃষ্টি ও পুরাতন ক্রেতা ধরে রাখা (Creating new customer and retaining old customers): মার্কেট তৈরির অন্যতম কার্যকর পদক্ষেপ হলো নতুন ক্রেতা সৃষ্টি ও যারা পুরাতন ক্রেতা রয়েছে তাদেরকে ধরে রাখা।

৮. প্রতিযোগী বিশ্লেষণ (Competitor analysis): মার্কেট বা ক্রেতা তৈরিতে প্রতিযোগীরা কী কী কৌশল গ্রহণ করছে তা জানা ও সে অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ।

৯. পরিপূরক পণ্য বা সেবা যোগ (Add complementary products or services): মার্কেট তৈরির আরেকটা কার্যকর পদক্ষেপ হলো পরিপূরক পণ্য বা সেবা যোগ। যেমন— কেউ যদি অনলাইনে দু'টি ড্রেস ক্রয় করে তাহলে দু'টি ড্রেসের সাথে পরিপূরক পণ্য হিসেবে একটি গেঞ্জি যোগ করে দেওয়া।

Content added By
Promotion